ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় (বিস্তারিত দেখুন)

বর্তমানে ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা প্রত্যেকের দেহে আছে। আপনার কি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সমূহ গুলো কি তা জানেন? আমরা এই আর্টিকেলে ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে এটি নিয়ন্ত্রনে রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।

১৯৮০ সালে এক গবেষণায় এই রোগটি মানুয়ের দেহের ভিতরে ধরা পড়ে। সেই ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১০৮ মিলিয়ন। পরবর্তীতে ১৯১৪ সালের গবেষনায় তা উন্নিত হয়ে ৪২২ মিলিয়ন হয়। এটি এমন এক মারাক্তক ধরনের রোগ যা একবার মানব দেহে বৃদ্ধি পেলে তা আর একেবারে নির্মূল হয় না।

2000 সাল থেকে 2016 সালের মধ্যে, ডায়াবেটিস থেকে অকালমৃত্যুর হার 5% বৃদ্ধি পেয়েছিল। 2019 সালে গবেষনায়, শুধু ডায়াবেটিস রোগ দ্ধারা আনুমানিক 1.5 মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল।

ডায়াবেটিস যা মানব দেহ অন্যান্য রোগকে স্বগত জানায় যেমন: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, , কিডনির সমস্যা, অন্ধত্ব ইত্যাদি আরো অনেক জটিল রোগর প্রধান কারণ হতে পারে। এই জটিল রোগটি উচ্চ-আয়ের দেশগুলির তুলনায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাজার হাজার মানষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।

লক্ষণগুলি- টাইপ 1 ডায়াবেটিসের মতো হতে পারে তবে প্রায়শই কম চিহ্নিত হয়। ফলস্বরূপ, রোগটি শুরু হওয়ার কয়েক বছর পরে নির্ণয় করা যেতে পারে, ইতিমধ্যে জটিলতা দেখা দেওয়ার পরে।

এই ধরনের ডায়াবেটিস শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত কিন্তু এখন এটি শিশুদের মধ্যেও ক্রমবর্ধমান ঘন ঘন ঘটছে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

আপনার ডায়াবেটিকস হয়েছে কিনা সেটি জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডায়াবেটিস এর লক্ষন গুলো সম্পর্কে অবগত হতে হবে। আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারবেন যদি আপনার বেসিক জ্ঞান থাকে। আর আপনি যদি এ ধরনের লক্ষণগুলো জেনে রাখেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে ডায়াবেটিস।

গ্রামার ছাড়া সহজ ইংরেজি শিখুন

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে কি ইনকাম করা যায়


তবে ডায়াবেটিস হলে ভয়ের কোন কারণ নেই ।তাহলে অতিদ্রুত আপনি আপনার চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। কারণ এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে আপনি সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।

আপনি কি ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় খুজচ্ছেন?

ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে ডায়াবেটিকস হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এখানে ভয় পাওয়ার মত কিছু নেই তবে আপনাকে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কিন্তু আপনি বুঝবেন কি করে যে ডায়াবেটিকস নর্মাল লেভেল কোনটি?

আমেরিকান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন গাইডলাইন অনুযায়ী জানা যায় যে, ৫ .৭- এর নিচে থাকলে আপনার রক্তের সুগার লেভেল স্বাভাবিক আছে। আর যদি ৬.৫- এর বেশি থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিস আছে। তবে যাদের ৫.৭-৬.৫ এর মধ্যে রয়েছে তারা প্রি ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের পূর্ব অবস্থায় হিসেবে বিবেচনা হবে। ডায়াবেটিক হওয়ার কিছু লক্ষন। যেমনঃ

  • অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব হওয়া বা লাগা।
  • ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
  • ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
  • অতিরিক্ত মলত্যাগ।
  • শরীল ক্লান্ত ও দুর্বল হওয়া।
  • কোথাও কেটে গেলে তা শুকাতে সময় লাগা।
  • অসময়ে চামড়া ফেটে যাওয়া।
  • শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া।
  • ত্বকের সংক্রমণ হওয়া।
  • আঘাত থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার।

ডায়াবেটিস কত প্রকার?

ডায়াবেটিস ২ প্রকার । যথাঃ

ডায়াবেটিস টাইপ-১
ডায়াবেটিস টাইপ-২।

টাইপ 1 ডায়াবেটিস

এ ধরনের ডায়াবেটিস বেশিরভাগ কম বয়সী বা 20 বছরের কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে হয়ে থাকে। আর এটি ডায়াবেটিসে টাইপ ১ ইনসুলিন শরীরে তৈরি হয় না। 2017 সালে টাইপ 1 ডায়াবেটিস সহ 9 মিলিয়ন লোক ছিল; তাদের অধিকাংশই উচ্চ আয়ের দেশে বাস করে। এর কারণ বা প্রতিরোধের উপায়ও জানা যায়নি।

লক্ষণগুলির মধ্যে প্রস্রাবের অত্যধিক নির্গমন (পলিউরিয়া), তৃষ্ণা (পলিডিপসিয়া), অবিরাম ক্ষুধা, ওজন হ্রাস, দৃষ্টি পরিবর্তন এবং ক্লান্তি অন্তর্ভুক্ত। এই লক্ষণগুলি হঠাৎ দেখা দিতে পারে।

টাইপ 2 ডায়াবেটিস

টাইপ 2 ডায়াবেটিস (আগে বলা হয় অ-ইনসুলিন-নির্ভর, বা প্রাপ্তবয়স্ক-সূচনা) শরীরের ইনসুলিনের অকার্যকর ব্যবহারের ফলে। ডায়াবেটিস রোগীদের 95% এরও বেশি টাইপ 2 ডায়াবেটিস আছে। এই ধরনের ডায়াবেটিস মূলত শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ফল।

স্বাস্থ্য প্রভাব

সময়ের সাথে সাথে, ডায়াবেটিস হার্ট, রক্তনালী, চোখ, কিডনি এবং স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় (1)।

কম রক্ত ​​প্রবাহের সাথে মিলিত হয়ে, পায়ের নিউরোপ্যাথি (স্নায়ুর ক্ষতি) পায়ের আলসার, সংক্রমণ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার শেষ প্রয়োজনের সম্ভাবনা বাড়ায়।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি অন্ধত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এবং এটি রেটিনার ছোট রক্তনালীগুলির দীর্ঘমেয়াদী পুঞ্জীভূত ক্ষতির ফলে ঘটে। ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় 1 মিলিয়ন মানুষ অন্ধ (2)।

ডায়াবেটিস কিডনি ব্যর্থতার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি (3)।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ও প্রতিরোধ সমূহ

যদি কোন ব্যক্তির ডায়বেটিস রোগ হয় তবে তাকে অবশ্যই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন-যাপন করতে হবে। নিয়মানুযায়ী শারীরিক নিয়মিত ব্যায়ম ও নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিমাণ মতো খাবার গ্রহণ করতে হবে। সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় সমূহেরও জ্ঞান থাকতে হবে। নিচে কিছু ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায় সমূহ আলোচনা করা হলো।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন ও বজায় রাখা।
  • শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
  • চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান প্রয়োজনে ডায়েট কন্ট্রোল।
  • তামাক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন – ধূমপান ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট হাঁটতে হবে।
  • শাক-সবজি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে।
  • পূর্ণ শস্য জাতিয় খাবার খেতে হবে।
  • রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে যদি আপনার লাইফস্টাইল চেন্জ করেন। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না? আপনি বেশিবেশি শাক-সবজি খান এবং সুগার ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। তাহলেই সম্ভব।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর দোয়া ও আপনি পড়তে পারেন । উচ্চারণ : রাব্বি আদখিলনি মুদখালা সিদকিও ওয়া আখরিঝনি মুকরাঝা সিদকিও ওয়াঝআললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাসিরা। এই উল্লেখিত আয়াতটি প্রতিদিন ৪১বার পাঠ করবে।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে খরচ সাশ্রয় এবং সম্ভাব্য উভয় হস্তক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে:

রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে টাইপ 1 ডায়াবেটিস কমানোর উপায়। টাইপ 1 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়। টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৌখিক ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা যেতে পারে, তবে ইনসুলিনেরও প্রয়োজন হতে পারে।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ; এবং পায়ের যত্ন (পায়ের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে রোগীর স্ব-যত্ন; উপযুক্ত পাদুকা পরা; আলসার ব্যবস্থাপনার জন্য পেশাদার যত্ন নেওয়া; এবং স্বাস্থ্য পেশাদারদের দ্বারা পায়ের নিয়মিত পরীক্ষা)।

এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, শরীরের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা এবং তামাক ব্যবহার এড়ানো হল টাইপ 2 ডায়াবেটিসের সূত্রপাত প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করার উপায়।

ডায়াবেটিস চিকিত্সা করা যেতে পারে এবং এর পরিণতিগুলি এড়ানো বা দেরি করা যেতে পারে ডায়েট, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, ওষুধ এবং নিয়মিত স্ক্রীনিং এবং জটিলতার চিকিত্সার মাধ্যমে।

শেষ কথা

চেষ্টা করেছি Important কিছু বিষয় তুলে ধরার। আশা করি উপকৃত হয়েছেন। রিসেন্ট 2021 সালের মে মাসে, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সমূহকে নিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। এটি ইনসুলিনের অ্যাক্সেস বৃদ্ধি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতেও বিশেষ গুরুত্বলাভ করে। আপনার যদি কোন মতামত থাকে আমাদেরকে জানাতে পারেন। ধদ্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে সম্পূণ পোষ্টটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *