বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন | Barsik Samostik Mullayon

প্রিয় শিক্ষক, আপনি ইতোমধ্যেই জানেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বছরে একটি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও দুইটি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত রাখা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইতোমধ্যে বছরের শুরুর ছয় মাসের শিখন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া আছে।

শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে আপনারা মূল্যায়ন করেছেন। ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি এসাইনমেন্ট বা কাজ শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয়েছে, বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও অনুরূপ একটি নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা সমাধা করবে। এই কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, কাজের প্রক্রিয়া, ফলাফল, ইত্যাদি সবকিছুই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।

মূল্যায়নের নির্ধারিত কাজ/এসাইনমেন্ট শুরু করে এই কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্নভাবে আপনি শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেবেন, তবে কাজের প্রক্রিয়া কী হবে বা সমস্যা সমাধান কীভাবে করতে হবে তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। কাজের বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকে আপনি শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা কীভাবে নিরূপণ করবেন, তার বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী অংশে দেয়া আছে।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩

শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন চলমান আছে, যা শিখন অভিজ্ঞতাসমূহের বিভিন্ন ধাপে আপনারা পরিচালনা করছেন। এইবার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ মূল্যায়নের একটা বড় অংশ হলো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদান, যার মূল উদ্দেশ্য বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ডিজিটাল প্রযুক্তি অন্যান শিখনে সহায়তা দেয়া।

এই চলমান মূল্যায়নের তথ্য শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই, তাদের করা বিভিন্ন কাজের নমুনা যেমন: পোস্টার, মডেল, প্রশ্নপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এর বাইরেও বছর জুড়ে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক ব্যবহার করে আপনারা শিখনকালীন মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড রেখেছেন।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন
বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন

এছাড়া ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময় নির্ধারিত কাজের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকের সাহায্যে আপনারা মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করেছেন। পরবর্তীতে শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয়ে আপনারা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।

যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের মতোই বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে এবং তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকসমূহ ব্যবহার করে তার মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করতে হবে। এই মূল্যায়নের তথ্যের সাথে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং বাকি শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয় করে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ট্রান্সক্রিপ্ট ও রেকর্ড প্রস্তুত করতে হবে।

সাধারণ নির্দেশনা

শুরুতেই ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালিত হবে তার নিয়মাবলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা কী সেটা যেন তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। ষষ্ঠ শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য প্রদত্ত কাজটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে সর্বমোট তিনটি সেশন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দুইটি সেশনে ৯০ মিনিট করে, এবং শেষ সেশনে দুই ঘণ্টা (বা বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা অনুযায়ী) সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করবেন। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হলে শিক্ষক শেষ সেশনে কিছুটা বেশি সময় ব্যবহার করতে পারেন।

বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের প্রদত্ত রুটিন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ ৬ষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ কাজ সেশন চলাকালেই করবে, বাড়িতে গিয়ে করার জন্য খুব বেশি কাজ না রাখা ভালো।

মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে এবং পুরো অভিজ্ঞতাটি যেন
তাদের জন্য আনন্দময় হয়।

Barsik Samostik Mullayon/Annual Performance Appraisal

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ pdf ” বা Annual Performance Appraisal হলো কোনও কর্মচারীর প্রতি বছরে তার কার্যক্ষমতা, উদ্যম, সম্পাদকতা, ও অন্যান্য দক্ষতা ও প্রদর্শন নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নের একটি প্রক্রিয়া। এটি একটি সংস্থার কর্মচারীদের উন্নতি এবং প্রশাসনিক বা পেশাদার ভাবে তাদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।

ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন pdf ও বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি প্রস্তুত করার জন্য একটি পরিকল্পনা থাকতে হয়, যা কার্যচক্র, লক্ষ্য, এবং মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করে। এটি কর্মচারীর দায়িত্ব, কর্মসূচি, এবং পুরোপুরি কর্মচারীর সাধারণ উত্তরপ্রদান দেখতে সহায়ক হতে পারে। বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নে সাধারিতভাবে নিম্নলিখিত দক্ষতা এবং দিকের প্রস্তুতি মূল্যায়ন হতে পারে।

উপস্থাপনে যথাসম্ভব বিনামুল্যের উপকরণ ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেবেন, উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকদের যাতে কোনো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিন, মডেল/পোস্টার/ছবি ইতাদির চাকচিক্যে মূল্যায়নে হেরফের হবে না। বরং বিনামূল্যের বা স্বল্পমূল্যের উপকরণ, সম্ভব হলে ফেলনা জিনিস ব্যবহারে উৎসাহ দিন।

বিষয়ভিত্তিক তথ্যের প্রয়োজনে পাঠ্যবই বা যেকোনো উৎস শিক্ষার্থী ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনো উৎস থেকেই হুবহু তথ্য তুলে দেয়ায় উৎসাহ দেবেন না, বরং তথ্য ব্যবহার করে সে নির্ধারিত সমস্যার সমাধান করতে পারছে কি না, এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কি না তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবেন।

বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত শিখন যোগ্যতাসমূহ

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে ইতোমধ্যে এই শ্রেণির জন্য নির্ধারিত সকল যেতো চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ নির্বাচন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অর্পিত কাজটি সাজানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ:

যোগ্যতা ৬.১: কোন ধরনের তথ্য কেন প্রয়োজন তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করা ও তথ্যের ব্যবহারে দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারা।

যোগ্যতা ৬.২: সরল অ্যালগোরিদমের ধারাবাহিক ধাপসমূহ নির্ধারণ, শাখাবিন্যাস এবং পুনরাবৃত্তি ডিজাইন ও পরিমার্জন করতে পারা এবং তা অনুসরণ করে প্রোগ্রাম প্রস্তুত করতে পারা।

নৈপুণ্য অ্যাপ এর ব্যবহার বিস্তারিত

যোগ্যতা ৬.৩: ডিজিটাল সিস্টেমের উপাদানসমূহ পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠে এবং তথ্য
আদানপ্রদান করা হয় তা অনুসন্ধান করতে পারা।

যোগ্যতা ৬.৪: নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে টার্গেট গ্রুপ বিবেচনায় নিয়ে কনটেন্ট তুলে ধরতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সৃজনশীল ব্যবহার করতে পারা

যোগ্যতা ৬.৫: ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জরুরি সেবা গ্রহনের জন্য যোগাযোগ স্থাপন করতে পারা।
যোগ্যতা ৬.৭: ডিজিটাল প্লাটফর্মে তত্ত্ব আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণ ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও ঝুঁকি মোকাবেলার দক্ষতা অর্জন করতে পারা

যোগাতা ৬.৮: তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সামাজিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগত অবস্থান ও করণীয় নির্ধারণ করতে পারা।

যোগ্যতা ৬.৯: ব্যক্তিগত যোগাযোগে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযুক্ত সামাজিক রীতি-নীতি ও আচরণ করতে পারা।

কাজের সারসংক্ষেপ বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প

সেমিনার জরুরি পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকি পূর্বের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নিজের এলাকার কি কি জরুরি অবস্থার তৈরি হতে পারে তা চিহ্নিত করবে।

ঐ জরুরী পরিস্থিতি অনুযায়ী জীবনযাত্রায় কি সংকট তৈরি হতে পারে তারও একটি তালিকা তৈরি করবে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহের জন্য শিক্ষার্থী অভিভাবক, এলাকার অভিজ্ঞ ব্যক্তি, জরুরি পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি বা গণমাধ্যম থেকে তথ্য নিতে পারে।

১। থিম ১ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট দুর্যোগঃ দল – ১,৩,৫
২। থিম ২ মানব সৃষ্ট কারণে দূর্যোগঃ দল ২

জরুরি অবস্থার ভিন্নতার উপর নির্ভর করে কি ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তার উপর ভিত্তি করে করণীয় ঠিক করবে। যেমনঃ বিদ্যালয়ের সাথে কীভাবে সংযুক্ত বা কানেক্টেড থাকতে হবে, কমিউনিটির সাথে কীভাবে কানেক্টেড থাকতে হবে, কোন জরুরী তথ্য কীভাবে সবার কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে, ওই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, নৌলিক প্রয়োজনগুলো কীভাবে নিশ্চিত করা যেতে পারে ইতাসি।

শিক্ষার্থী তার পরিকল্পনা কাজে রুপান্তর করবে। যেমন কানেক্টেড থাকার জন্য ফোকাল পয়েন্ট কে হবে তা ধরে ফ্লোচার্ট বানানো, কোন জরুরী মেসেজ দেওয়ার জন্য কনটেন্ট বানানো, নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করবে তা বিশ্লেষণ করে উপাদান চিহ্নিত করা, জরুরী অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে কি সাইবার অপরাধ হতে পারে তা চিহ্নিত করে করনীয় তালিকা তৈরি করা ইত্যাদি। সর্বশেষ মূল্যায়ন উৎসবের দিন শিক্ষার্থী একটি সেমিনার আয়োজন করে দলের কাজগুলো উপস্থাপন করবে এবং প্রতিবেদন লিখবে।

• ধাপসমূহ:

ধাপ ১ (প্রথম কর্মদিবস : ৯০ মিনিট)

কাজ ১ (শ্রেনিকক্ষের সকল শিক্ষার্থী): শিক্ষক শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ৪ বা ৬ টি দল ভাগ করে নিবেন।
কাজ ২ (শ্রেনিকক্ষের সকল শিক্ষার্থী): : শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সবাই নিলে চিহ্নিত করবেন আমাদের এলাকায় কি কি ধরনের জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখানে শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে পরিস্থিতির কথা বলবে। চিহ্নিত করা হলে শিক্ষক এই পরিস্থিতিগুলোকে দুইটি ভাগে ভাগ করতে বলবেন।

১। প্রাকৃতিক কারনে সৃষ্ট দুর্যোগঃ যেমন কর, ভূমিকম্প, পাহায় ধ্বংস, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি

২। মানব সৃষ্ট কারনে দুর্যোগঃ জলাবদ্ধতা, অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনা, রাসায়নিক বিস্ফোরন ইত্যাদি উপরের জরুরি পরিস্থিতি গুলো উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হল, বিভিন্ন এলাকার ভৌগলিক অবস্থান বা জীবনাচরন অনুযায়ী এই পরিস্থিতি অবশ্যই ভিন্ন হবে।

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে এই পরিস্থিতিগুল চিহ্নিত করে শ্রেণীকরণ করবনে। শিক্ষার্থীর ভুল হলে শুধুমাত্র তখন সঠিক তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষক সহায়তা করবেন।

কাজ ৩ (শ্রেনিকক্ষের সকল শিক্ষার্থী): : শ্রেণীকরণ করা সম্পন্ন হলে শিক্ষক প্রতিটি দলকে একটি করে জরুরি পরিস্থিতি এসাইন করে দলে কাজ করতে নির্দেশনা দিবেন।

কাজ ৪ (দলীয় কাজ) : শিক্ষার্থী তার প্রাপ্ত জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে জীবনযাত্রায় কি কি ধরণের সংকট তৈরি হয় বা কি কি ধরণের পরিবর্তন হয় তা দলে বসে চিহ্নিত করবে।

কাজ ৫ (দলগত সিদ্ধান্ত একক কাজ ): শিক্ষার্থী জরুরি পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত অবস্থায় স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে নিতে কি কি করনীয় হতে পারে তা পরিকল্পনা করবে।

এখানে থাকতে পারেঃ
বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে কি করতে হবে
পরিবারের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে কি করতে হবে
কমিউনিটির (প্রতিবেশি, সমাজ) সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে কি করতে হবে।
খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান, জরুরী ঔষধ ইত্যাদির সরবারাহ ঠিক রাখতে কি করতে হবে।

সরকার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ থেকে কোন তথ্য থাকলে সে তথ্য সকলের কাছে সরবরাহ করতে কি করতে হবে। ঐ পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে কি ধরনের সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

শিক্ষার্থী তার প্রাপ্ত জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে আরও কিছু সংকট এবং সে অনুযায়ী করণীয় নির্ধারন করবে। উপরের করণীয় গুলো সাধারণভাবে উদাহরণ হিসেবে দেওয়া আছে। নিজের এলাকায় ঘটেছে বা ঘটার সম্ভাবনা আছে এরকম জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনা করেই করনীয় নির্ধারন করতে হবে।

৩ নং এবং ৪ নং কাজ এর তথ্য সংগ্রহের জন্য শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্য, অভিজ্ঞ ব্যক্তি, ইন্টারনেট, বই, ফবরের কাগজ ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

৪০ দলের প্রতিটি সদস্য কে কোন অংশের কাজ করবে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিবে। শিক্ষক নিশ্চিত করবেন দলের সকল সদস্য কাজে যুক্ত আছে।

(বিশেষ দ্রষ্টব: প্রথম সেশনে কোনো PI এর ইনপুট দিতে হবে না।)
ধাপ ২ (দ্বিতীয় কর্মদিবস : ১০ মিনিট)

কাজ ১ (দলগত কাজ): শিক্ষার্থী কর্মদিবস- ১ এর ৩ নং এবং ৪ নং কাজ দলের সবাই মিলে তালিকা তৈরি করবে। অর্থাৎ তালিকা হবে,
১। কি কি সংকট তৈরি হতে পারে

২। ঐ সংকট মোকাবেলায় করণীয়
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৬১ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৬.১.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
• কাজ ২ (দলগত কাজ), শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত করণীয়গুলোকে ধাপ অনুযায়ী ফ্লোচার্ট আকারে তৈরি করবে। ফ্লোচার্টে পুনরাবৃত্তি এবং পরিমার্জন যুক্ত করবে।

শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৬.২ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৬.২.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
• কাজ ৩ (দলগত কাজ ) ঐ জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে সবাই সবার সাথে সংযুক্ত থাকবে তার উপায় নির্ধারন করবে। বিদ্যুৎ না থাকলে বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে কিভাবে সংযুক্ত থাকা যায় সে পরিকল্পনাও থাকবে। ঐ নেটওয়ার্কে নেটওয়ার্কের বিভিন্ন উপাদান (সেন্ডার, রিসিভার, রাউটার, হাব ইত্যাদি) কীভাবে কাজ করে তা চিহ্নিত করবে (পাঠ্যবই এ পোস্ট অফিসের উদাহরণের মত)

শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৬.৩ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৩.৩.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
কাজ ৪ (দলগত কাজ): শিক্ষার্থী যে জরুরি অবস্থা নিয়ে কাজ করছে এই জরুরি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কি কি ধরণের সাইবার অপরাধ এবং তথ্যঝুঁকি হতে পারে তা চিহ্নিত করবে এবং করণীয় কি তা বর্ণনা করে লিখে রাখবে।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন
বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন

শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৬.৭.৬.৮ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৬.৭.১ এবং ৬.৮.১ মূল্যায়ন করা হবে।
কাজ ৫ (দলগত কাজ): নির্ধারিত জরুরি অবস্থায় কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোন নম্বারে যোগাযোগ করে কী সাহায্য চাওয়া হবে তার পরিকল্পনা করবে।

শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৫ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৬.৫.১ মূল্যায়ন করা হবে।
.
কাজ ও দলগত সিদ্ধান্ত, একক কাজ); ঐ জরুরি পরিস্থিতিতে সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আসা কোন প্রয়োজনীয় তথ্য কীভাবে সবার কাছে পৌঁছাতে হবে, কি মাধ্যম, কি মেসেজ কীভাবে ব্যবহার করবে তার পরিকল্পনা করবে। এখানে শিক্ষার্থী লক্ষ্যদল ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করবে। কনটেন্ট হতে পারে একটি মেসেজ বা ছবি, ভিডিও, কমিকস ইত্যাদি। জরুরি অবস্থা (প্রেক্ষাপট) এবং যাদেরকে তথ্য দিতে বা সচেতন করতে কনটেন্ট ব্যবহার করবে তাদের ভিন্নতার উপর এটি নির্ভর করবে।

শিক্ষার্থী প্রয়োজনে বাড়িতে কনটেন্ট তৈরির কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে পারবে।
ধাপ ৩ তৃতীয় কর্মদিবস : ১২০ মিনিট বা প্রয়োজনে কিছুটা বেশি সময়

কাজ ১ (দলগত কাজ, কনটেন্ট তৈরি): শিক্ষার্থী কোন কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন হলে ১ ঘণ্টা সময় কনটেন্ট তৈরির জন্য কাজে লাগাতে পারবে।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন
বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন

শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৬.৪ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৬.৪.১ মূল্যায়ন করা হবে।
কাজ ২ দলগত উপস্থাপনা): শিক্ষার্থী দলগত ভাবে তাদের কাজ করা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং সংকট মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা (কর্মদিবস ২ এ করা সকল কাজ) উপস্থাপন করবে। (প্রতিদল সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় পাবে

নিচে বিষয়ভিত্তিক বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সকল ফাইল pdf আকারে দেওয়া হলো।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা বাংলা pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা  ইংরেজি pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা গণিত pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা বিজ্ঞান pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ডিজিটাল প্রযুক্তি pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা জীবন জীবিকা pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ইসলাম শিক্ষা pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা হিন্দ ধর্ম pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা স্বাস্থ্য সুরক্ষা pdf

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা শিল্প ও সংস্কৃতি pdf

 

আচরণিক নির্দেশকে শিক্ষার্থীর উপাত্ত সংগ্রহের ছক

বছর জুড়ে পুরো শিখন কার্যক্রম চলাকালে শিক্ষার্থীদের আচরণ, দলীয় কাজে অংশগ্রহণ, আগ্রহ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এই ছক অনুযায়ী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত মাত্রা রেকর্ড করবেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বেই তৈরি করে নিতে হবে।

নতুন কারিকুলাম নবম শ্রেণির সকল বই দেখতে এখানে দেখুন…

শেষ কথা

ধন্যবাদ মূলবান সময় দিয়ে সম্পর্ণ আর্টিকেলটি পড়র জন্য। আশাকরি বার্ষিক সামষ্টিক এমনকি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৬ষ্ঠ শ্রেণি মূল্যায়ন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি মূল্যায়ন এর সম্ময়ে ৭ম শ্রেণির বাৎসরিক ও ষান্মাষিক মূল্যায়ন করতে করবেন।  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সবাই একসাথে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি লাইক করে রাখুন এবং সাথেই থাকুন।

1 thought on “বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন | Barsik Samostik Mullayon”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *