ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ সম্পর্কে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি যানবাহনের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি এবং যানবাহন যে চালাবে কা পরিচালনা করবে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এ কাজটি করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন যানবাহনের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে থাকেন।

বি আর টি এ কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স কে দুই ভাগে বিভক্ত করে একটি হচ্ছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অন্যটি হচ্ছে ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি মূলত এই দুই ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে  ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ ৪১৫২ টাকা নির্ধারণ করেছেন। অপরদিকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য ২,৪২৭ টাকা নির্ধারণ করেছেন।

আমরা যারা যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার  চালায় তাদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হয়তো বা অনেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত  ড্রাইভিং লাইসেন্স করেত কত টাকা লাগে এটা নিয়ে হয়তোবা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি নিয়ে বিস্তারিত।

আসলে দ্বিধাদন্দের মধ্যে থাকারই কথা কারণ হচ্ছে বছরের শুরুতে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স যেমন মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ ছিল ২৫৪২ টাকা যা বর্তমানে বাড়িয়ে ৪১৫২ টাকা করা হয়েছে। অপরদিকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ ছিল ১৬৭৯টাকা যা বর্তমানে ৭৪৮টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৪২৭ টাকা।

আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা নিতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সহজ উপায়

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি

ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে বোঝায়-এটি একটি আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট যা কোন ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যানবাহন পরিচালনা করার জন্য। এককথায় গাড়ী চালকের আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট। এই লাইসেন্সটির ডকুমেন্ট পেতে হলে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাছ আবেদন করতে হয়।

এই লাইসেন্সটি হচ্ছে মূলত কোন ব্যক্তির অধিকার যা মোটরগাড়ি চালানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
এমনকি এই লাইসেন্স টি কোন ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করিয়ে দেয় যে আসলেই এই ব্যক্তিটি একজন দক্ষ গাড়ি চালক।

একজন ড্রাইভার লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হলে সাধারণত একটি ড্রাইভিং টেস্ট পাস করতে হবে যা গাড়ি চালনা করতে সম্পর্কিত আইন এবং সুরক্ষা নির্দেশাবলী মেনে চলে যেতে হবে।

বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম নীতি অবলম্বন করতে হয় যেমন আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে যাচ্ছেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের যানবাহন চালাবেন।

বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে একটি হচ্ছে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অন্যটি হচ্ছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

বর্তমানে বিআরটিএ নির্ধারিত ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি মূলত বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেন। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি গত বছরের তুলনায় ৬০% বৃদ্ধি করা হয়েছে যা হচ্ছে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ গাড়ি চালকদের জন্য। এমনকি এর সাথে ১৫% ভ্যাট সংযুক্ত করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

বছরের শুরুতে এই ফি মোটামুটি কম ছিল যা বর্তমানে বাড়ানো হয়েছে এজন্য সবাই আমরা একটা দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত। আপনি কি জানেন বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত?

২০২৩ এর শুরুতেই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ছিল মাত্র ১৬৭৯ টাকা। বর্তমানে এই ফি সাথে ৭৪৮টাকা বৃদ্ধি করে ২৪২৭টাকা নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে অপ্রেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি ছিল মাত্র ২৫৪২ টাকা এর সাথে ১৬১০টাকা বৃদ্ধি করে বর্তমানে এই ফ্রি করা হয় ৪,১৫২টাকা।

এই বছরে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি  গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। কোন গাড়ি কিনার পর সেই গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এই রেজিস্ট্রেশন বাবদ একটা ফি প্রদান করতে হয় বর্তমানে এই ফ্রিটাও অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।

পূর্বে একটি মোটরসাইকেল কেনার পর রেজিস্ট্রেশন বাবদ খরচ হতো ১০১৫২ টাকা। কিন্তু বর্তমানে এই ফি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২,২৬৭ টাকা যার পরিমাণ আগের তুলনায় ২,১১৫টাকা বেশি দিতে হয়।

মোটরসাইকেল চালানোর জন্য কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন?

আমরা পূর্বে জেনেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স কে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে একটি হচ্ছে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য পূর্বের যে ফ্রি লাগত ২০২৩ এই বছরে সেই ফির তুলনায় দ্বিগুণ ফি লাগে। মোটরসাইকেল কিংবা হালকা যান পরিচালনা করার জন্য অবশ্য তার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি যেটাই হোক না কেন মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আপনাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পূর্বে লাগত ২৫৪২ টাকা যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪১৫২ টাকা যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ। এই নির্ধারিত খরচের বাইরে ও আপনাকে আরো কিছু টাকা প্রদান করতে হয় যেমন ফরম বাবদ এর সাথে ভ্যাট যুক্ত করতে হয় ইত্যাদি।

আপনি কি জানেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?

বর্তমানে আমরা যারা মোটরসাইকেল মালিক আছি কিংবা অন্যান্য গাড়ি চালায় তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করাটা অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করাটা কতটা জরুরী। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে এটাও জানা জরুরী। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে কি কি লাগে নিচে এ বিষয়ে বেশ কিছু ইনফরমেশন দেওয়া হলো।

  • বিআরটিএ কর্তৃক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে
  • আবেদনপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে
  • বর্তমান নির্ধারিত ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে ( অপেশাদার ৪১৫২ এবং পেশাদারের ক্ষেত্রে ২৪২৭ টাকা)
  • বিআরটিএ কর্তৃক নির্দেশিত ব্যাংকের রশিদ সংযুক্ত করতে হবে
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট সংযুক্ত করতে হবে
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি যুক্ত করতে হবে
  • প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে
  • অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে বয়স ১৮ বছর
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর
  • প্রার্থীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে
  • প্রার্থীকে (bsp.brta.gov.bd) এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে

আপনারা যদি উপরের সব নিয়ম গুলো মেনে বিআরটিএ নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদনপত্র সম্পন্ন করেন ইনশাআল্লাহ সবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।

এভাবে আবেদন পত্রটি সম্পন্ন করার পর যদি আপনার আবেদনপত্রটি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে বিআরটিএর পক্ষ থেকে মেসেজ অথবা মেইল পাবেন লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই টেস্ট গুলা খুবই সহজ আপনারা একটু চেষ্টা করলেই আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হাতে পেয়ে যাবেন।

কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায়

শেষ কথা

বন্ধুরা এখনো যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করেননি ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ছাড়াই গাড়ি চালাইতেছেন তারা এই প্রবন্ধটি দেখে আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে অবশ্যই সরকারি ফি জমা দিয়ে আবেদন পত্রটি সম্পন্ন করুন তা না হলে আবেদন পত্রটি অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যাচ্ছেন তাদের এই আর্টিকেলটি খুবই হেল্পফুল হবে। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরেনর হেল্পফুল টিপ্স পেতে আমাদের পেজ  Allow করে রাখুন এবং সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *